
রিয়াল: ভালো ,, কিন্তু
তোর।।
আমার ভালো।।
নাসিম:কিরে এই চার
দিন আসিস নি যে।।।
এমনি,,
রিয়াল: সুলতানা আপুও
আসে নি,আজ দেখলাম
কেমন খোঁড়িয় খোঁড়িয়ে
হাঁটছে।। কারণ টা কি
মামা।।।
ধুর শালার, আপুর পা
কেটে গেছিল তাই
আসে নাই আর আমাকে
আসতে দেই নি।।
জিনিয়া:হাই সবাই
কেমন আছো।।
রিয়াল:ভালো,, তুমি।।
জিনিয়া: ভালো,কি
ব্যাপার সিহাব এই
কয়েক দিন আসো নাই
যে।।।
এমনি,
মাহি আপু:কিরে এই
কয়েক দিন কি হয়েছিল
আসেস নি যে।।
আপু:পা কেটে গেছিল,,,
বৃষ্টি আপু: কিভাবে?
আপু:ঐ কুত্তার সাথে
ঘুরতে গেছিলাম , দিয়ে
আমাকে রাগিয়ে
দিয়েছিল ,আমি তখন
ওকে তাড়া করেছিলাম
তখন কেটে গেছে।।
কিন্তু পা কাটাতে
ভালো হয়েছিল ।
মাহি আপু: কেনো?
আপু:ওর কোলে
উঠেছিলাম।।
বৃষ্টি আপু: ভালো,,
আপু:হুম,,
বিকেলে,,,
তুমি কাউকে
ভালোবাসো না।।
আপু:বাসি তো।।।
কাকে??
আপু:বলবো না।।
ও দেখতে কেমন ওর একটু
বর্ণনা দাও কে এমন
সোভাগ্য বান ব্যাক্তি
যে তোমার মত এতো
সুন্দরী মেয়ে তাকে
ভালোবাসে।।(সুন্দর না
ছাই, আস্তো একটা
ডাইনী, মনে মনে শুনলে
তো আমার অবস্থা
খারাপ করে দিবে)
আপু:সে তোর খুব মানে
খুব পরিচিত, আমার
থেকে দুই বছরের ছোট।।
দেখতে অনেক কিউট।।
এ্যাঁ, তোমার থেকে
ছোট।।।
আপু: হুম,,,
ওর নাম কি,,,
আপু:ওর নাম ,না থাক
বলবো না।।।
আরে বলো না,,,,
আপু:না , সময় হলে
জানতে পারবি।।
ওকে,,,,
দুদিন পর,,
রিয়াল:চলে আজ
ক্যাম্পাসের চার দিক
টা ঘুরে আসি, অনেক
দিন ঘোরা হয়নি।।
ওকে চল,,, ঘুরতে
লাগলাম এক জায়গায়
দেখি আপু আর একটা
ছেলে পাশাপাশি গল্প
করছে।। আপুর দিকে
তাকালাম আপু আমার
দিকে তাকালো আমি
এমন ভাব করলাম যেন
অনেক রেগে আছি।।।
অবশ্য আপুর পাশে আপুর
বান্ধবীরাও আছে।।।
রিয়াল কে বললাম-
কিরে তোদের আজ
বিশ্বাস হলো যে আপু
আমাকে ভালবাসে না
একে ভালোবাসে।।।
নাসিম:না হলো না।।।
কেনো কেনো?
রিয়াল:আপু তো তোকে
বলেছে , আপুর থেকে দুই
বছরের ছোট একজন কে
ভালোবাসে।।আর তুই ও
আপুর থেকে দুই বছরের
ছোট,,,
ধুর বাল,, ওদের ওখান
থেকে চলে এলাম
ক্লাসে।।।
বৃষ্টি আপু: সুলতানা
তোর জুনিয়র তোকে
আবার ভুল বুঝলো না
তো দেখে মনে হচ্ছে
অনেক রেগে আছে,ওর
চলেও গেল।।।
আপু:হতে পারে ,আমি
গেলাম।।।বলে আপু উঠে
এসে খুঁজতে লাগল।।
আপু: রিয়াল সিহাব
কোথায়??
রিয়াল: কেনো আপু কি
হয়েছে আর আপনাকে
এমন দেখাচ্ছে কেনো??
আপু:যেটা বলছি সেটা
বল ।।।(রেগে)
রিয়াল তো ভয়ে শেষ,,,
যে পরিমাণ রেগে
গেছে।।।
রিয়াল:ক্লাসে মনে
হয়।।। (আমতা আমতা করে
বলল)
আপু আসা মাত্র জেনে
আপুর মাথায় আকাশ
ভেঙে পড়লো।। কারণ
নীলা আমাকে প্রপোজ
করছে।।
আপুর এমন অবস্থা যেন
দুনিয়ার সব কিছু
হারাতে বসেছে।। আপু
আর দেরি না করে
নীলার কাছ থেকে ফুল
টা নিয়ে মাটিতে
ফেলে দিলো,আর
ঠাসসসস ঠাসসসসস
আমার গালে না নীলার
গালে।। নীলার চোখ
দিয়ে পানি বের হয়ে
আছে।। তারপর আমাকেও
দুইটা দিলো।।
খুব রাগ হচ্ছে , আমার
মাথা টা গরম হয়ে গেল
দিলাম একটা
ঠাসসসসসস এই তোমার
সমস্যা কি বলতো যখন
তখন থাপ্পর মারো।।।
আপু কিছু বললো না
কাঁদতে কাঁদতে চলে
গেলো।।
আমার খারাপ লাগলো ,
কিভাবে মারতে
পারলাম,, এখন খুব
খারাপ লাগছে।।। যাই
আপু কে সরি বলে
আসি।।তাই আপুদের
ক্লাস রুমে গেলাম
দেখি আপু নেই।। মাহি
আপু সুলতানা আপু
কোথায়।।
মাহি আপু: কাঁদতে
কাঁদতে বাসায় চলে
গেছে।।। কেনো
কাঁদছিল বুঝতে পারলাম
না আর জিগ্যেস করলাম
কিন্তু বললো না,,কি
হয়েছে একটু বলবা।।
না আপু তেমন কিছু
হয়নি,,,তার মানে এরা
জানে না।। জানবে বা
কি করে এগুলো তো
আমাদের রুমে হয়েছে।।।
মন খারাপ করে রুমে
এলাম এসে নীলা কে
খুঁজলাম কিন্তু ও চলে
গেছে।।
চুপ করে বেঞ্চ বসে
গেলাম কিছু ভালো
লাগছে না,কী থেকে
কী যে হয়ে গেল।।
নাসিম:আপু কে তোর
এভাবে মারা ঠিক
হয়নি।।।
হুম, কিন্তু আমাকে একটু
একা থাকতে দে কিছু
ভালো লাগছে না।।
বাসায় গিয়ে আপুকে
সরি বলতে
হবে,,,ক্লাসে স্যার
চলে এলো।। ক্লাস টা
শেষ হয়ে গেলো স্যার
কি পড়লো কিছু বুঝতে
পারলাম, ফোন কাঁপতে
শুরু করলো।। ফোন বের
করে দেখি আম্মু ফোন
করছে।।
কি ব্যাপার আম্মু এই
সময়ে ফোন করলো
কারণ টা কি,,
তাড়াতাড়ি রিসিভ
করলাম
কি হয়েছে আম্মু ?
?
আম্মু: তাড়াতাড়ি
হাসপাতালে আয় ।।
কেনো কি হয়েছে?
আম্মু: সুলতানা হাত
কেটে সুইসাইড করার
চেষ্টা করেছিলো।।
কি বলছো,,, একটু
জোরে।।(মাথায় আকাশ
ভেঙ্গে পড়ার মতো
অবস্থা)
আম্মু:হুম, তাড়াতাড়ি
সিটি হাসপাতালে আয়।।
রিয়াল: কি হয়েছে??
আর কথা না বলে, ক্লাস
থেকে বের হয়ে
গেলাম।।মন অনেক
খারাপ হয়ে গেলো।।
কেনো থাপ্পর মারতে
গেলাম।। নিজের প্রতি
ঘৃণা হচ্ছে।। কিভাবে
মারতে পারলাম।।
পনেরো মিনিট পর
হাসপাতালে চলে
এলাম,, গিয়ে দেখি
বড়ো আম্মু কাঁদছে আর
আম্মু সান্ত্বনা দিচ্ছে
বলছে কিছু হবে না।।।
বড়ো আম্মুর পাশে গিয়ে
বসলাম।।
আম্মু: ভার্সিটিতে কি
হয়েছিলো যে সুলতানা
এমন করলো।।
কিছু না,আর আমি তেমন
কিছু জানি না।।।
তখন ডাক্তার এলো,,,
ডাক্তার আপু এখন কেমন
আছে?
ডাক্তার:রোগী এখন
ঠিক আছে , রক্ত
একবারে প্রায় শুন্য হয়ে
গেছিল, রক্ত
হাসপাতালে ছিলো
বলে কোন সমস্যা হয়
নি।।আর একটু দেরি হলে
কি যে হতো জানি না।।।
সবাই আলহামদুলিল্লাহ
পড়লাম।আর চিন্তার ভাব
টাও কেটে গেল।।।
আমরা কি ভিতরছ যেতে
পারি।।
ডাক্তার: হুম, কিন্তু
রোগীর জ্ঞান ফিরে
নাই।।
ভিতরে গেলাম,, আধা
ঘন্টা পর আপুর জ্ঞান
ফিরলো।।
বড়ো আম্মু: তুই এমন
কেনো করলি ,তোর যদি
কিছু হয়ে যেতে তাহলে
আমাদের কি হতো
ভেবে দেখেছিস।।।
বড়ো আম্মু কেঁদে
দিলেন,আপু চুপ করে
আছে,
আম্মু: ভাবী এগুলো কি
সুরে করলেন, মেয়েটার
এই মাত্র জ্ঞান
ফিরলো।।।
আপু আমার দিকে
তাকালো,আমি মাথা
নিচু করে নিলাম,,নিজে
কেমন অপরাধী মনে
হচ্ছে।।।
আব্বু চলে এলো।।
আব্বু:কি হয়েছে,আর
সুলতানা মা তুই এমন
কেনো করলি।।।
আম্মু:থামো তো
মেয়েটার এই মাত্র
জ্ঞান ফিরলো আর
এসেই।।পরে জানবো
কেনো এমন করলো।।।
আপু আমার দিকে
তাকিয়ে আছে আমি
মাথা নিচু করে আড়
চোখে দেখছি।। আপু
সবার সাথে কথা
বললেও আমার সাথে
কথা বলে নি।।
রাতে-
আম্মু তোমরা যাও ,,,
আমি থাকছি।।
আম্মু:ওকে।
সবাই চলে গেল,,,আপু
সরি আসলে থাপ্পর
মারতে চাই নি,,।।।
কেনো কথা বলছে না,
চুপ করে আছে।।।
কথা তো বলো।। সরি
বললাম তো।।
কেনো কথা বলছে না।
কিছুক্ষণ কথা বলানোর
চেষ্টা করলাম কিন্তু
কথা বলাতে পারলাম
না।। ওকে তোমায় কথা
বলতে হবে না।।এর মধ্যে
আপু ঘুমিয়ে
পড়েছে,,বসে থাকতে
থাকতে 1 টা বেজে
গেলো অনেক ঘুম
পাচ্ছে। আর চোখ কে
আটকে রাখতে পারছি
না।
পাশে খালি বেড আছে
ওখানে গিয়ে ঘুমিয়ে
গেলাম।। কিছুক্ষণ পর
মনে হলো কেউ আমাকে
পিছন থেকে জড়িয়ে
ধরে আছে,আমি ভয়
পেয়ে গেলাম আমাকে
আবার ভুতে ধরলো না
তো।। ভয়ে আত্মা রাম
খাঁচা ছাড়া হয়ে
গেছে।। কিন্তু শার্ট
ভেজা ভেজা লাগছে।।
আর দেরি না করে
ঘুরলাম।। দেখি আপু
জড়িয়ে ধরে আছে আর
কাঁদছে।।।
তু….তু…তুমি,,,
উঠতে যাবো।।
আপু:উঠবি না, শুয়ে
থাক।
আমাকে জড়িয়ে ধরে
আছো কেনো আর
কাঁদছো কেন??
আপু: তোকে খুব
ভালোবাসি রে খুব ,
নিজের জীবনের
চাইতেও ,,,, তখন খুব
কষ্ট হয়েছিল তাই তো
এমন করেছি।।।
আগে তো বললেই
পারতা ,,, আর কান্না
থামাও,,,,তাহলে
তোমাকে এমন কিছু
করতে হতো না।।
আপু: হুম,, তুই বুঝিস না
কোন তোর সাথে এমন
করতাম কেনো কোন
মেয়ের সাথে কথা
বলতে দিতাম না।।।
আমি তো ভাবতাম ছোট
ভাই ভেবে এমন করতা।।।
আমি কি ভাবে বুঝতে
পারবো তুমি আমাকে
ভালোবাসো।।। বন্ধুরা
বলতো যে আপু তোকে
ভালবাসে কিন্তু আমি
তা এড়িয়ে যেতাম।।।
আপু:জানিস খুব কষ্ট
হয়েছে।।তোর সাথে কথা
বলি নাই তাই।।
তুমি তো বলো নাই,,
আমি বোকার মত কথা
বললাম কিন্তু তুমি কিছু
বললা না।।
আপু:তোর উপর খুব রাগ
হয়েছিল তাই,ন্ত কিন্তু
সেই রাগ বেশিক্ষণ ধরে
রাখতে পারলাম
না,,,তোর সাথে কথা
না বলাই আমার দম বন্ধ
হয়ে আসছিলো ।।।
এই পিচ্চি টাকে খুব
ভালোবাসে তাই না ।।
আপু: হুঁ অনেক,এই পিচ্চি
টাকে অনেক
ভালোবাসি।।।
বড়ো আব্বু আম্মু,আর
আমার আব্বু আম্মু
আমাদের মেনে নিবে।।
আপু: কেনো মেনে
নিবে না।।।
যদি না মানে তাহলে
কি হবে।।।
আপু:আমরা পালিয়ে
যাবো।।।
এ্যাঁ,,,
আপু:হুম।।
পালিয়ে না হয় যাবো
কিন্তু খাবো কি
থাকবো কোথায়??
আপু:আমি জব করবো আর
তুই লেখাপড়া করবি।
এ্যাঁ,,
আপু:হুম আমার পিচ্চি
বর।।
হায়রে কপাল শেষ
পর্যন্ত বউ এর উপার্জন
করা টাকা দিয়ে
লেখাপড়া চালাতে
হবে।।।
আপু: সমস্যা
কোথায়,,,আর
পরিবারের লোকজন
মেনে নিলো তো
পালাতে হচ্ছে না।।।
না মানে ভবিষ্যত
ভেবে রাখছি।।।
আপু: পিচ্চি একটা।।
পিচ্চি বলবা না কিন্তু
হুঁ।।
আপু: কেনো বললে কি
করবি।।।
কিছুক্ষণ পর
ছেড়ে দিলাম
এইটা করবো,, (হাঁপাতে
হাঁপাতে)
আপু:এটা কি হলো,,
(হাঁপাতে হাঁপাতে)
আমি পিচ্চি কি বড়ো
এটা বুঝালাম।।
আপু:তাই নাকি,,, কিন্তু
আমি তোকে পিচ্চি
বলবো।।
পিচ্চি বলবা না, আমি
কিন্তু মোটেও পিচ্চি
না।।
আপু:আমি বলবো,,
পিচ্চি পিচ্চি।।
আবার একশন শুরু
এবার আপুও রেসপন্স
করছে,(মনে হচ্ছে আপু
এটাই চাইছিল)
দুজনের মধ্যে বেশ
কিছুক্ষণ যুদ্ধ চললো
কিন্তু আমার দফারফা
ঠোঁট কামড়ে বাদ করে
দিয়েছে জ্বালা
করছে।।।
এভাবে কেউ কামড়
দেয়,মনে হচ্ছে আমার
ঠোঁট ছিঁড়ে গেছে।।।
আপু:তাই তো রক্ত ও
বের হচ্ছে।।
কি বলছো,,
আপু:হুম ,,
তুমি তো আচ্ছা
রাক্ষুসী।।।
আপু:একদম রাক্ষুসী
বলবি না ।।
না বলবো না,, আমার
ঠোঁটের অবস্থা যা
করেছো নিশ্চয় ফুলে
যাবে।।।
তখন সবাই কে কি
বলবো।।। এ্যাঁ হ্যাঁ
আপু: এতো ঢং করতে
হবে না।।।
তোমার তো ঢং মনে
হবে।। মন চাচ্ছে তোমার
ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে
ফেলে দি।।।
আপু:নে কামড়া।
না থাক ,, দুজনের ঠোট
ফুলে থাকলে তখন সবাই
আরো সন্দেহ করবে।।।
আপু:এই নে তুলো
পরিস্কার কর।।।
তুমি করে দাও, তুমি
যেহেতু এমন করেছো।।
আপু:ওকে।।
হুম,,,,,,
আপু:পরিস্কার করা শেষ
এখন তুই ঘুমা আমি তোর
বুকে মাথা রেখে
ঘুমাবো।।
চলবেসিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~6
No responses to সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~5
Be first Make a comment.