
তুমি না বললেও আজ
খেয়ে যেতাম।।
বড়ো আম্মু: পাগল,,
আচ্ছা যা সুলতানা
কেনো ডাকছে শুনে
আই।।।
হুম,, আপুর রুমের সামনে
গেলাম,,, কখনো অনুমতি
নেই না, আজ নিবো
ভাবছি।।।
আপু আস্তে পারি।।।
আপু আমার দিকে অবাক
হয়ে তাকালো।।।
এভাবে দেখছো কেনো
?
আপু:তোর মাথা ঠিক
আছে,,,
কেনো কেনো?
আপু: কোন দিন অনুমতি
নিস না,আজ নিচ্ছিস
তাই।।।
না আমি ঠিক আছি ,,,
নবী করীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন কারো ঘরে
গেলে অনুমতি নিতে
হয়।।।
আপু:তাই নাকি,,
হুম,, তুমি জানো না।।।
আপু:হুম, জানি তো ,, তুই
ফজর নামায পড়েছিস।।।
না,, (মাথা চুলকাতে
চুলকাতে)
আপু: হযরত মুহাম্মদ (সা:)
ফজর নামায পড়তে বারন
করেছে।।।
না তো?
আপু: তাহলে পড়িস না
কেনো,,এটা মনে হয়
পড়তে বারণ করেছেন?
না মানে আসলে উঠতে
পারি নি।(মাথা
চুলকাতে চুলকাতে)
আপু:হয়েছে হয়েছে,
আগামী কাল থেকে
কিভাবে নামাজ না
পড়িস সেটাই দেখবো।।
হুম,,আর এতো সকালে
ডাকলে যে ।।
আপু:একা ভালো লাগছে
না তাই।।।
আজ তোকে ভার্সিটি
যেতে হবে না,আর আমি
যতো দিন যেতে না
পারবো , তুই যেতে
পারবি না,, আমার
সাথে থাকবি।।
এ্যাঁ,,
আপু: হুম চান্দু।।
আপুর ফোনটা বিছানায়
আছে, আমার পাশে
নিতে যাবো তখন-
আপু:এই এই দে,
তাড়াতাড়ি নিয়ে
নিলো।।।
আপু: আমার ফোনে হাত
দিচ্ছিস কেনো?
তোমার ফোনে কি এমন
আছে যে কখন তোমার
ফোনে হাত দিতে দাও
না।।।
আপু: এমনি,,,
আপু তুমি প্রেম করো
না,, তখনি একটা
ঠাসসসসসস
গালের যে পাশে ব্রাশ
ছিল সেই পাশে থাপ্পর
দেওয়ায় প্রচন্ড ব্যথা
করলো।।আর দাঁতের
মাড়ি জ্বালা করতে
লাগলো।মনে হয় কেটে
গেছে।।। চোখ দিয়েও
পানি বের হয়ে গেল।।
কিছু বললাম না উঠে
তাড়াতাড়ি উঠে আপুর
ওশ রুমে গেলাম।। মুখে
পানি দিতেই অনেক
জ্বলতে লাগলো। মুখ
থেকে পানি ফেলতেই
রক্ত বের হতে লাগলো।।
এখন কি করবো রক্ত
বের হয়ে যাওয়া বন্ধ
করবো কি করে।।
আপু ডাকছে,
আপু: সিহাব ঐ সিহাব
তোর কি হলো।। আপুর
ওশরুম থেকে বের হয়ে
এলাম,,, আপুর দিকে
একবার তাকিয়ে বাইরে
চলে এলাম,,,এসে
বাসায় চলে এলাম।।
আম্মু আম্মু ।
আমার এভাবে
ডাকাডাকি তে আম্মু
রান্না ঘর থেকে
তাড়াতাড়ি বের হয়ে
এলো।।
আম্মু: এভাবে ডাকছিস
কেনো?কি হয়েছে?
দাঁতের মাড়ির গোড়া
কেটে গিয়ে রক্ত বের
হচ্ছে।।।
আম্মু:কি বলিস,এটা
কিভাবে হলো।।(
আম্মু তো অস্থির হয়ে
গেছে।।।
আম্মু:তুই এখানে
তাড়াতাড়ি বস আমি
আসছি।।।
আম্মু রুমে চলে গেলো,
তারপর কি হাতে নিয়ে
এলো।।
আম্মু: এখানে চুপ করে
বসে থাক।।
হুম,,
আম্মু:আর হা কর।।
হুম,, আম্মু কি জেনে
যেখানে কেটে গেছে
সেখানে কি দিলো ,
সাথে সাথে জ্বালা
করতে লাগলো।।।
ও আম্মু কি দিলা অনেক
জ্বালা করছে তো।।ও উুঁ
কি জ্বলছে।।
আম্মু: চুপ করে বসে থাক
।। কিছুক্ষণ পর থেমে
যাবে।।।আর এই তুলো
ধরে থাক দাঁতের
পাশে।।
হুম,,,
আম্মু: কিভাবে এটা
হলো।।
কে জানি কিভাবে হয়ে
গেল।।
আম্মু: কখন যে বড়
হবি,তোকে নিয়ে পারা
যায় না।।
হুম,,
বসে থাক আমি রান্না
টা সেরে নি।।।
ওকে যাও,,আমি রুমে
চলে এলাম।।। এসে
বিছানায় বসলাম আর
জ্বালা করছে না। ফোন
টা বেজে উঠলো।। দেখি
আপু ফোন করেছে।। এবং
15 বার মিশ কল উঠে
আছে।।
রাগে ফোন বন্ধ করে
দিলাম,, শুধু শুধু থাপ্পর
মারে ছোট বলে কি
এমন ভাবে থাপ্পর
মারবে।।।
কিছুক্ষণ পর:
বড়ো আম্মু সুলতানা
আপুর রুমে গেলো।।।
বড়ো আম্মু: তোদের
বিরিয়ানি তৈরি হয়ে
গেছে,,, সুলতানা তুই
কাঁদছিস কেনো আর
সিহাব কোথায়?
আপু কোন কথা বলছে না
শুধু কেঁদে যাচ্ছে।।।
বড়ো আম্মু সুলতানা
আপুর পাশে বসলো।। আর
বললো-
কিরে কাঁদিছিস
কেনো,আর সিহাব
কোথায়।।
আপু: বাসায় চলে
গেছে।।(কেঁদে কেঁদে)
বড়ো আম্মু: সিহাব তো
বললো খেয়ে তারপর
যাবো , না হলে যাবো
না।।
কিন্তু তুই কাঁদছিস
কেনো?
আপু: আমার উপর রাগ
করে চলে গেছে।।(চোখ
মুছে)
আম্মু: তোদের নিয়ে
পারি না তোদের মাঝে
মধ্যে কিযে হয় বুঝতে
পারি না ,,,তাই বলে
কাঁদছিস।।।
আচ্ছা তুই খা আমি
গিয়ে ওকে ডেকে
আনছি ।।।
আপু:ওকে ডেকে আনো
তারপর দুজন একসাথে
খাবো , না হলে খাবো
না।।।।
বড়ো আম্মু: আচ্ছা
যাচ্ছি।।।।
বড়ো আম্মু আমাদের
বাসায়।।
আম্মু:আরে ভাবী যে
বসেন।।।
বড়ো আম্মু: সিহাব
কোথায়।।।ও বললো
বিরিয়ানি খেয়ে
তারপর যাবো, না হলে
যাবো না।।। কিন্তু তার
আগেই চলে এসেছে।।
আম্মু: বিরিয়ানি খেতে
মনে হয় পারবে না।।।
বড়ো আম্মু: কেনো কি
হয়েছে?
আম্মু: ব্রাশ করতে
গিয়ে দাঁতের মাড়ি
কেটে দিয়েছে।।।
বড়ো আম্মু:কি বলো।।
আম্মু: হুম,,,
বড়ো আম্মু: আচ্ছা যাই।।
ওকে ডাকতে এলাম
কিন্তু ওতো খেতে
পারবে না।।।
আব্বু: খাওয়া দাওয়া
করে যান।।(রুমে থেকে
বের হতে হতে)
বড়ো আম্মু:আরে না,,
বড়ো আম্মু চলে গেল,,
সুলতানা আপু: সিহাব
কোথায়??
বড়ো আম্মু: তুই ওকে
কিছু বলেছিস ,ওর
দাঁতের মাড়ি কাটলো
কিভাবে।।।
আপু চুপ হয়ে গেল।।। আজ
আপুর সামনে যাই নি
রাগে, ফোন বন্ধ আছে।
বড়ো আম্মু আর একবার
এসেছিল কিন্তু যাই
নি।।।
আজকে তেমন ভালো
ভাবে কিছু খেতে
পারলাম না।।। ফোন অন
করলাম তখনি টুং টুং শুরু
হয়ে গেলো আপু 150+
ফোন করেছে।আর অনেক
ম্যাসেজ দিয়েছে।।
ম্যাসেজ গুলো ওপেন
করে দেখলাম-এক একটা
ম্যাসেজ এই রকম-
প্লিজ ফোন রিসিভ কর
, প্লিজ আমাদের
বাসায় আয়, আমার ভুল
হয়ে গেছে ক্ষমা করে
দে।।
আবার ফোন আসলো-
রিসিভ করলাম,,, ওপাশ
থেকে কান্নার শব্দ
আসছে।।।
কারো কান্না একদম
সহ্য করতে পারি না, খুব
খারাপ লাগছে।। হ্যালো
এভাবে কান্না করছো
কেন?
কোন কথা বলছে না শুধু
কেঁদে যাচ্ছে।।।
কি হলো কথা বলো ,
কান্না করছে কেন?
আপু:সরি আমার ভুল হয়ে
গেছে আর তোকে
এভাবে মারবো না।।
আমাকে ক্ষমা করে
দে।।।(কেঁদে কেঁদে)
ওকে ওকে,, তুমি কান্না
থামাও।।
আপু:হুম,, ফোন বন্ধ
রাখছিলি কেনো?
এমনি,,,
আপু: এখন আমাদের
বাসায় আয়।।।
এখন এতো রাতে,না এখন
যেতে পারবো না।।
সকালে।।।
আপু:না এখনি আয়।
এতো রাতে মোটেও
না।। সকালে যাবো।।
এখন অনেক ঘুম পাচ্ছে।।।
আপু:ওকে ,, আল্লাহ
হাফেজ?
আল্লাহ হাফেজ,, ফোন
কেটে দিলাম,, আপুর
উপর রাগ করে থাকতে
পারি না,, কেনো যে
বুঝতে পারি না।। ঘুমিয়ে
পড়লাম-
সকালে কারো হাতের
স্পর্শে ঘুম ভাঙল।। চোখ
খুলে দেখি আপু আমার
যে গালে মেরেছিলো
সেই গালে হাত বুলিয়ে
দিচ্ছে,,আমি জেগে
গেছি দেখে, আপু
তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে
নিলো।।
আপু তুমি,আর তোমার পা
ঠিক হয়ে গেছে??
আপু: মোটামুটি
হয়েছে,,কাল খুব
লেগেছে তাই না,তার
জন্য সরি বুঝতে পারি
নাই।।।(মন খারাপ করে)
আরে এ নিয়ে মন
খারাপ করো না, কিছু
মনে করি নাই,, তুমি
আমার আপু।।।
আপু বলাতে আবার
রেগে তাকালো।।
আচ্ছা আপু বলবো না,,
কিছু মনে করি নাই,,
আপু:হুম,,,
আপু এবার একটু হাসলো।।
আমারো খুব ভালো
লাগলো।।।
আপু: ফ্রেশ হয়ে নিচে
আই।
হুম,,, নিচে এসে সবার
সাথে খাওয়া দাওয়া
করলাম,যদিও খেতে
একটু সমস্যা হলো।সবার
সাথে টুকটাক গল্প
করলাম এভাবে দুইটা
দিন চলে গেল।।।
আপু: তুই এখানো রেডি
হসনি।।।
তুমি নিচে যাও আমি
তৈরি হয়ে আসছি।।
আপু:ওকে,,
আপু চলে গেলো।। আমি
রেডি হয়ে কাঁধে ব্যাগ
নিয়ে নিচে এলাম।।।
আপু এবার চলো যাওয়া
যাক।।।
আপু: হুম,,
বাইরে আসলাম,,কিসে
যাবা।।
আপু:হাঁটতে সমস্যা
হবে,, রিকশায় চল।।
ওকে,,, একটা রিকশা
ওয়ালা কে ডাক
দিলাম,,
রিকশা ওয়ালা: কোথায়
যাবেন??
ভার্সিটি চলেন।।।
রিকশা ওয়ালা:উঠেন।।
আপু আর আমি উঠলাম,,
আমি একটু ফাঁকা রেখে
বসলাম।।। রিকশা ওয়ালা
তার আপন গতিতে চলতে
লাগলো।।।
আপু: দূরে গিয়ে বসলি
কেনো?
এমনি,,
আপু: এদিকে চেপে এসে
বস পড়ে যাবি তো।।
না পড়বো না।। আমি
এখানেই ঠিক আছি।।।
আপু রেগে তাকালো।।।
একবার চোখ লাল হয়ে
গেছে।।।
ভয়ে পেয়ে গেলাম।।
তাই আপুর একদম পাশে
বসলাম,,, শরীরে শরীর
লাগছে ,আর শরীরের
ভেতরে যেনো বিদ্যুৎ
প্রবাহিত হচ্ছে।। খুব
অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।।।
কিছুক্ষণ পর ভার্সিটি
পৌঁছে গেলাম।। নেমে
গেলাম, আমি ভাড়া
দিতে চাইলাম কিন্তু
দিতে দিলো না।
আপু ভাড়া দিলো ।।
আপু আস্তে আস্তে
হাঁটছে তাই আমাকেও
হাঁটতে হচ্ছে।।আপু আপুর
বান্ধবীদের কাছে
কাছে চলে গেল আর
আমি আমার বন্ধুদের
কাছে এরাম।
কিরে তোদের অবস্থা
কেমন?
রিয়াল: ভালো ,, কিন্তু
তোর।।
আমার ভালো।।
চলবে....সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~5
No responses to সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part-4
Be first Make a comment.