
ধুর বাল,,যাই ফুচকা
গুলো আমি খাই,,
ভেবেছিলাম তোমাকে
দিবো কিন্তু আর দিবো
না।।
আপু:কি ফুচকা,, কোথায়
দে।।
না দিবো না,, তুমি
আমার কাছে থেকে
সিঙাড়া নিয়ে
নিয়েছো।
আপু:এই নে,,
আমি নিয়ে দিলাম ভোঁ
দৌড়,,, তোমাকে
মিথ্যে বললাম।।।
আপু:কিইইই কুত্তা তুই
দাঁড়া তোর একদিন কি
আমার একদিন।।।
রুমে এসে দরজা বন্ধ
করে দিলাম,, তারপর
তৃপ্তি সহকারে গেলাম,,
অবশ্যই আপু দরজা
ধাক্কা দিচ্ছিল এখন
আর দিচ্ছে না।।।
খাওয়া দাওয়া শেষ
করে মোবাইল নিয়ে
বসলাম,, কিছুক্ষণ পর
আম্মু এসে ডেকে
গেলো।। খাওয়ার জন্য
নিচে গেলাম দেখি আপু
বসে আছে,, আমার
দিকে রাগী দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে,,,
আমি সুন্দর একটা মুচকি
হাসি উপহার
দিলাম,,এতে আরো
রেগে গেলে।।
খেতে বসলাম,, তখন
আব্বু বললো-
আব্বু:কিরে তোর প্রথম
দিন কেমন কাটলো।।।
কেমন আর কাটবে,,প্রথম
দিন, আদর দিয়ে শুরু
হয়েছে।।(আপুর দিকে
তাকিয়ে বললাম) আপু
তো রেগে আগুন,, চোখ
দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন
ঝরছে।।
আব্বু:কী বললি বুঝলাম
না?
হুম ভালো,,বইরার
বাচ্চা।।।( আস্তে করে
বললাম)
আব্বু: ভালো হলেই
ভাল,,,
সুলতানা মা তুই এই বাদর
টাকে দেখে রাখিস।।
আপু: হুঁ,, তোমাকে সেই
চিন্তা করতে হবে না।
ওর বাঁদরামি বের
করবো।।
আব্বু: উল্টাপাল্টা কিছু
করলেই ওকে আচ্ছা
মতো দিবি।।।
আপু: তোমাকে চিন্তা
করতে হবে না চাচ্চু।
তুমি না বলাতেই আমার
যা অবস্থা করে এখন
তো আরো খারাপ
অবস্থা ছাড়বে।। আম্মু
এটা কি তোমার
স্বামী,,না মানে তুমি
কি সত্যি আমার আব্বু।।
আব্বু: তোর কেনো
সন্দেহ।।
অনেক,,, নিজের পিতা
হলে কি আর এমন একটা
ডাইনীর কাছে নিজের
ছেলেকে তুলে দেয়।।
আপু: তুই কি বললি আমি
ডাইনী,, তোকে তো
আজকে (রেগে)
আম্মু:ও তোরা কি শুরু
করলি। চুপচাপ খেয়ে
আমাকে উদ্ধার করো।।।
আমি শুরু করি নাই।।।
ও মা গো গেলাম গো।।।
(চিৎকার দিয়ে)
আম্মু, আব্বু:কিরে তোর
কি হলো।।।
আপুর দিকে রাগী ভাবে
তাকালাম,,মনে হচ্ছে
পায়ের মাংস তুলে
নিয়েছে চিমটি
কেটেছে।। আপু মিটমিট
করে হাসছে।।।
আব্বু:কিরে কি হলো?
কিছু হয়নি,,,
আব্বু:তো এভাবে
চিৎকার দিলি যে।।
এমনি,, হালকা খেয়ে
রুমে চলে এলাম,এসেই
ফোন নিয়ে বসে
পড়লাম।। একটু পর আপু
আসলো,, একবার
তাকিয়ে আবার
মোবাইল টিপাতে
মনোযোগ দিলাম।।
আপু: তখন খুব লেগেছিল
তাই না।।
চুপ করে আছি.………
আপু:কিরে কথা বল।।
চুপ………
আপু:কি হলো কথা বল।।।
চুপ……
আপু: কথা বল না,,(এবার
কন্ঠ টা কেমন ভারি
ভারি লাগলো) সরি
এমন ভাবে আর চিমটি
দিবো না।।।
চুপ………
আপু আমার মাথা তুলেই
ঠাসসসসসস
আমি আপুর দিকে এক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি
আর বোঝার চেষ্টা
করছি মারলো কেনো?,
মারলা কেনো?
আপু: তুই কথা বলছিলি
না কেনো?
আমার মন চাইছে তাই
বলি নাই,,তাই বলে
মারবা।।
আপু:হুম মারবো,,
যাও তো এখন!
আপু:যাবো না,,,কি
করবি তুই।।।
দেখবা কি করবো,,,
আপু:দেখা।
বিছানা থেকে উঠে
দাঁড়ালাম তারপর রুমের
বাইরে যেতে লাগলাম।
(আরে ভাই আমার কি
অতখানি সাহস আছে
সুলতানা আপুর সাথে
কিছু করার)তাই নিজেই
কেটে পড়লাম।।
আপু:কোই যাস।।।
জাহান্নামে যাবা।।।।
আপু: তুই বললে ওখানেও
যেতে পারি কোন
সমস্যা নেই।।।
ধুর বাল,,, ছাদে চলে
এলাম।।।
পরের দিন সকালে,,
আপু: সিহাব এই সিহাব
উঠ।।
যাও তো আম্মু , এখন
ঘুমাবো।।
আপু:কি আমী তো আম্মু
লাগি।। উঠবি না পানি
আনবো।।।
পানির নাম শুনে উঠে
বসে পড়লাম,,,
আপুর দিকে
তাকালাম,,বা আপু কে
তো দেখতে দারুন
লাগছে,,, ঠোঁটে হালকা
গোলাপি লিপস্টিক
পরনে সাদা জামা
একটা নীল ওড়না। ওহ্
জা লাগছে না আমি
তো হা করে তাকিয়ে
আছি।।।
আপু:কিরে এভাবে কি
দেখিস।।।
আপু তোমাকে না
দেখতে অনেক সুন্দর
লাগছে।।আজ তোমার
দিকে সবাই হাঁ করে
তাকিয়ে থাকবে।।।
আপু: তুই তাকিয়ে
থাকলেই হবে,, অন্য
কারো দরকার নেই।।।
কিছু বললা।।।
আপু:না,,আর তুই আপু
বললি কেনো?(রেগে)
তুমি আমার বড় ,,, আর
তাছাড়া তোমাকে কী
বলে ডাকবো।।
আপু: আমার নাম ধরে
ডাকবি।।।
ধুর, তোমার নাম ধরে
ডাকলে কেমন
লাগবে,,আর মানুষে কি
বলবে।।
আপু:যে যাই বলুক তুই
আমার নাম ধরে
ডাকবি।।।
পারবো না।।
আপু: মানুষের সামনে
আপু বলে ডাকবি আর
এমন সময় নাম ধরে
ডাকবি।।।
কিন্তু কেন?
আপু: সত্যি তুই বুঝিস
না,,,না বুঝেও এমন
করিস।। আমি যে তোকে
অনেক ভালবাসি রে তুই
কেন বুঝতে পারছিস
না??(মনে মনে)
আমি বলছি তাই,,,
চেষ্টা করবো নি।।
আপু: চেষ্টা না চোখ
বলতে হবে,,আর
তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ
হয়ে আই ।না হলে
ভার্সিটি যেতে দেরী
হবে।।।
ওকে।। তুমি যাও আমি
আসছি।।।।
আপু চলে গেলো,, ফ্রেশ
হয়ে এসে রেডি হয়ে
নিচে এলাম। খেতে
বসলাম।।
আম্মু: সুলতানা তুই ও
বস।।।
আপু:আমি বাসা থেকে
খেয়ে এসেছি।।
আমি খেতে খেতে
লক্ষ্য করলাম আপু আমার
দিকে এক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে,,, চোখে
চোখ পড়তেই আপু চোখ
সরিয়ে নিল।।।
খাওয়া দাওয়া শেষ
করে বাসা থেকে
বেরিয়ে গেলাম।।।
আপু:চল রিকশায় যাই।।
না হেঁটে।।
আপু:বলছি না রিকশায়
যাবো।।
আপুর ঝাড়ি শুনে আমার
হয়ে গেছে,, আস্তে
আস্তে বললাম আচ্ছা।।।।
আমার এভাবে ভয়
পাওয়া দেখে আপু
মিটমিট করে হাসছে।।
এই মামা,,,
রিকশা ওয়ালা এলো -
কোই যাবেন আপনার।।
ভার্সিটি যাবো,,,
রিকশা ওয়ালা: আচ্ছা
উঠেন।।।
একটা জিনিস বুঝতে
পারি না আপু এতো চড়
থাপ্পড়, বকাবকি করে
কিন্তু কোনো যে ভালো
লাগে।। তার মানে আমি
কি আপু কে
ভালোবাসি।।। সিহাব তুই
এগুলো কি ভাবছিস ,,
সুলতানা আপু তোর বড় ।
আর আপু যদি জানতে
পারে তাহলে তো আমি
আর এই দুনিয়ায় থাকবো
না।।
আপু: এই এতো কি
ভাবছিস।।(আমাকে
ধাক্কা দিয়ে)
আপুর ধাক্কায় ভাবনার
জগতে ছেদ ঘটলো।।।।।
কিছু না আপু।।।
আপু রেগে তাকালো
(হয়তো আপু বলেছি
তাই)আমি হাতের
ইশারায় রিকশা ওয়ালা
মামাকে দেখিয়ে
দিলাম।।
আর কিছু বললো না।
আপু:আর তুই এতো দূরে
বসে আছিস কেনো।।
এমনি,,,
আপু: কাছে এসে বস।।।।
না আমি এখানেই ঠিক
আছি।।।
আপু: তুই আসবি না।।।
ভয়ে ভয়ে পাশে গিয়ে
বসলাম।।(সব সময় ভয়
দেখায়)
ভার্সিটি চলে এলাম,,,
ভাড়া টা আপু দিলো।।
আপু: মাথা নিচু করে
ক্লাসে যাবি যদি
দেখেছি অন্য মেয়েদের
দিকে তাকিয়েছিস
তাহলে তোর চোখ দুটো
খুলে রেখে দিবো।
মেয়েদের ধরে পাশেও
যাবি না।।
হুম,,,,
আপু:এখন যা।
হুম,,
দেখি রিয়াল দাঁড়িয়ে
আছে,,ওর সাথে মাসুম
আর নাসিম।।
কিরে তোদের অবস্থা
কি?
সবাই-ভালো।
নাসিম:তোর তো ভালো
হবেই।।।
কেনো কেনো?
সুলতানা আপুর সাথে যে
আসা যাওয়া করছিস।।
তো কি হয়েছে,,,
সুলতানা আমার আপু হয়
সো যাওয়া আসা করতেই
পারি,,,আর তোদের
মনমনোসিকতা বদলা ।।
আমি সুলতানা আপুকে
আমার বড় বোন মনে
করি বুঝলি।।।
নাসিম: আমার মনে হয়
না সুলতানা আপু তোকে
ছোট ভাইয়ের নজরে
দেখে।।
আচ্ছা তোদের এতো
জ্বলছে কেনো বলতো,,
আমি তো আমার
চাচাতো বোনের সাথে
যাওয়া আসা করি,,
কিন্তু তোমার এতো শুধু
তোদের সবার এতো
জ্বলছে কেনো।(রেগে)
রিয়াল:রাগীস কেনো।।
এতো সুন্দর একটা
মেয়ের সাথে তুই যাওয়া
আসা করিস বলে সবাই
এমন বলে।।।
তোর শুধু সৌন্দর্য
দেখলি ,যে রাগী আর
যে মারে।।।মার খাসনি
তো ।।।গাল ব্যাথা
করিয়ে দেয়।।
নীলা:হাই কেমন আছো
তোমরা।।।।
রিয়াল: ভালো তুমি।।।
নীলা: ভালো,,,
সিহাব তুই সরে যা যদি
আপু দেখে নেই তাহলে
তুই শেষ।।।।(মনে মনে)
তাই ওখানে থাকে
হাঁটতে লাগলাম।।
নীলা: সিহাব তোমার
কি হলো চলে যাচ্ছো
যে।।।
কিছু না,,তোমরা গল্প
কর।। আমার কাজ আছে
একটু।।।
ক্লাসে চলে এলাম।।
বসতেই আপু এলো।।
আপু: সিহাব শোন।।।
হুম বলো।।।
আপু:তোকে ডাকছি না।।
আচ্ছা আসছি।। হুম এবার
বলো?
আপু:এই নে টাকা তিন
টা আইসক্রিম নিয়ে
আই।।(পাঁচশো টাকার
একটা নোট দিয়ে)
টাকা নিয়ে চলে
এলাম,, মনে মনে
বললাম কত কিপটা
আমাকে একটা নিতে
বললো না।।।বাইরে এসে
১০০ টাকার তিন টা
আইসক্রিম নিয়ে
ভার্সিটির ভিতরে
গেলাম।।। আপু,মাহি
আপু, বৃষ্টি আপু বসে
আছে ওখানে গেলাম।।।
এই নাও তোমাদের
আইসক্রিম।
আপু: হুঁ,,
আর এই নাও টাকা,,,
আপু:আচ্ছা দে।।।
এখন যাই।।
আপু:ওকে,,
চলে আসতে লাগলাম,
আপু:এই দাঁড়া।।
আবার কি হলো??
আপু: কিছু না যা।।।
রাগ হলো, শালা কত
কষ্ট করে আইসক্রিম
এনে দিলাম, একটা
খেতেও বললো না,,বা
টাকাও দিলো না।।।
মন খারাপ করে ক্লাসে
চলে এলাম।।
রিয়াল:কি ব্যাপার
মামা মন খারাপ কেন??
কিছু না,,এমনি।।।
ক্যান্টিনে বসে
আছি,৬জন। শালা
হারামীর দল দুইটা
মেয়ে জুটাইছে কোথা
থেকে, অবশ্যই ওর
আমাদের ক্লাসের
নীলা আর জিনিয়া।।
তখন আপুদের আগমন
ঘটলো।। আপু আমার
দিকে রাগী ভাবে
তাকালো কারন নীলা
আমার পাশের চেয়ারে
বসলো।। আপুর এমন
অবস্থা দেখে অনেক ভয়
পেলাম।।।
আপু:এই এখানে আই।।
আসছি (আমতা আমতা
করে বললাম)
রিয়াল:কিরে তোকে
আপু ডাকে কেনো??
আমি কেমন করে
বলবো,, আচ্ছা যাই কি
বলছে শুনে আসি।।।
হুম বলো।।(আপুর কাছে
গিয়ে)
আপু:বস আমাদের সাথে
লাঞ্চ কর।
ওকে,,,মাহি আপু আর
বৃষ্টি আপুর দিকে আড়
চোখে তাকালাম,,,
দেখি মুচকি মুচকি
হাসছে।।।
চলবে…সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~3
No responses to সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~2
Be first Make a comment.