ভার্সিটির প্রথম দিন
,,গেট দিয়ে ঢুকতে ডাক
পড়লো।।কাছে গিয়ে
বললাম।।
জি ভাইয়া বলেন।।।
সিনিয়র ভাই:ঐ যে ঐ
মেয়েটাকে দেখছিস
ওকে গিয়ে এই গোলাপ
টা দিয়ে আই।।।
না ভাইয়া আমি এই
সুন্দর গাল দুটো লাল
করতে পারবো না।।।
পাশে থাকা আরেক ভাই
বললো- যা না তো
আমরা তোর শরীর লালা
করবো।।
আচ্ছা দেন যাচ্ছি,,
গোলাপ টা নিয়ে
আসতে আসতে এগিয়ে
যেতে লাগলাম।।
একেতো ভয়ে ভয়ে আছি
আপু যদি জানতে পারে
আমি ভার্সিটি আসছি
তাহলে তো গাল লাল
হবে।।(কারন আপুকে
বলেছি আজ ভার্সিটি
যাবো না আর চলে
এসেছি।।তা নিয়ে যতো
ভয়।তার উপর বড় ভাইদের
ragging এ শিকার) এ
দুটি নিয়ে অনেক ভয়
করছে । আজ না বুঝি
কয়টা থাপ্পর খেতে হয়।।
এগিয়ে গেলাম।।এই যে
শুনছেন।।
মেয়েটা ঘুরতেই অবাক
এতো বৃষ্টি আপু মানে
সুলতানা আপুর বান্ধবী।।
(ধড়ে যেন প্রাণ ফিরে
এলো)
বৃষ্টি আপু:আরে সিহাব
যে।।
হুম,,
বৃষ্টি আপু:কিন্তু তোমার
হাতে গোলাপ কাউকে
কি প্রপোজ করবা।।
আসছিলাম তো
তোমাকে করতে (ভয়ে
ভয়ে)
বৃষ্টি আপু: বুঝতে পারছি
ragging এ শিকার ।।।
হুম,, যাক বুঝতে
পেরেছেন।।
বৃষ্টি আপু: হুম,,আর ফুল
টা দাও।।।
এই নিন,, দিয়ে চলে
এলাম।
সিনিয়র ভাই:কি
ব্যাপার রে ওরে কিছু
বললো না যে।।।
আরেক ভাই বললো -
আমি কেমন করে
বলবো।।
বৃষ্টি আপু সুলতানা আপুর
কাছে গিয়ে বললো-
বৃষ্টি আপু:এই নে তোর
জুনিয়র বয়ফ্রেন্ড এর
গোলাপ।।।
সুলতানা:মানে কি,
বয়ফ্রেন্ড মানে আমার
সাথে মস্করা হচ্ছে।।
বৃষ্টি আপু:আরে এটা
সিহাব দিয়েছে।।।
সুলতানা:কি সিহাব
তোকে প্রপোজ
করেছে।।আর ঐ কুত্তা
ভার্সিটি ও এসেছে।।
ওরে আজ খাইছি।।
(রেগে)
মাহি আপু:আর এতো
রাগীস কেনো?
সুলতানা আপু: কুত্তা
বললো আজ ভার্সিটি
যাবে না আর চলে
এসেছে।।আর তার উপর
বৃষ্টি কে প্রপোজ
করেছে।ওর একদিন কি
আমার দশ দিন।।(রেগে)
ও এখন কোথায় আছে।।।
বৃষ্টি আপু:আগে শুনবি
তো।।
সুলতানা আপু: কী আর
বলবি(রেগে)
বৃষ্টি আপু:শুন ,,,ও
ragging শিকার হয়েছে
তাই আমাকে ফুল দিতে
এসেছে।।।।
সুলতানা:ও তাও ভালো,,
কিন্তু ঐ কুত্তাকে
ছাড়ছি না।।
বৃষ্টি আপু:আরে কোই
যাস ।
বলে আমাকে খুঁজতে
লাগলো। পিছন পিছন
বৃষ্টি আপু আর মাহি আপু
আস্তে লাগলো।
বৃষ্টি আপু: সিহাব এর
কপালে আজ কি আছে
আল্লাহ জানেন।।( যে
রাগী)
আমি বসে আছি রিয়াল
এর সাথে।।
রিয়াল আমার বন্ধু,,
একসাথে এই
ভার্সিটিতেই চান্স
পাইছি ।।
রিয়াল: দোস্ত সুলতানা
আপু এদিকে আসছে আর
অনেক রেগেও আছে।।।
কি বলিস,, আচ্ছা ভাই
আমি গেলাম বেঁচে
থাকলে বিকেলে দেখা
হবে।।।
রিয়াল: কেনো,
পরে বলমু নি।। উঠে দৌড়
দিতে যাবো তখনই-
সুলতানা আপু:এই তুই
পালাবি না,না বলে
তোর কপালে আরো দুঃখ
আছে।।
আর পালাইলাম না ,,
এখন হয়তো দুইটা থাপ্পড়
পড়বে কিন্তু পরে এর দু
ডাবল পরতে পারে।।
(পুর্বের অভিগঘোতা
থেকে বলছি) শালার
জীবন টাই তেজপাতা
বানিয়ে দিয়েছে,,
মাঝে মধ্যে এমন পড়ে
গালের উপর যে
কাসমেরি আপেল হয়ে
যায়।।।
এসেই- ঠাসসসসসস
ঠাসসসসস।।।
সুলতানা আপু:এই কুত্তা
তুই যে বললি ভার্সিটি
আসবি না,,,তো এলি
কেনো।(হালকা চিৎকার
দিয়ে)
আমি চুপ………
সুলতানা আপু:বলবি না
আরো দুইটা দিবো।।
না মানে ইয়ে মানে
সুলতানা আপু:কি না
মানে ইয়ে মানে করছিস
যা বলবি ভালো ভাবে
বল।।(রেগে)
সত্যি বললে মারবা না
তো??(আমতা আমতা
করে)
সুলতানা আপু: ঐ রকম
কিছু হলে মারবো।।
তাহলে থাক ।।
সুলতানা আপু:দেখ রাগ
উঠাবি না,,
আসলে প্রথম দিন আমি
একা একা আসতে
চাইছিলাম তাই
তোমাকে মিথ্যে
বলেছি।।।( আমতা
আমতা)
সুলতানা আপু আর কিছু
বললো না।।।
আপু: কোন ছেলে গুলো
তোকে বৃষ্টি কে
গোলাপ দিতে
পাঠিয়েছে?
?আমি বৃষ্টি আপুর দিকে
তাকালাম,,মনে মনে
বলছি আজ আমি
নিশ্চিত শেষ।।।ঐযে
গেটের কাছে বাইকে
বসে আছে ওরা।।।
আপু:ও,, দাঁড়া ওদের
দেখাচ্ছি মজা।।
বলে আমার হাত ধরে
টানতে টানতে নিয়ে
গেলো ওদের সামনে।।
আপু গিয়ে ওদের গাল
লাল করে দিলো-
আপু:কিরে তোদের
সাহস কি করে হয় ওকে
ফুল দিয়ে প্রপোজ
করতে পাঠানোর।।
সব কটা চুপ……
আপু: তুই ক্লাসে যা।।
হুম আপু।(সোজা মাথা
নিচু করে চলে এলাম)
আসলেই আমি না কি ,
আপনাদের পরিচয় টাই
দেওয়া হয়নি-আমি
সিহাব এবার অনার্স
প্রথম বর্ষে,আর যে
আমাকে আদর করলো
সে হচ্ছে আমার
চাচাতো বোন
সুলতানা,, আমার থেকে
দুই বছরের সিনিয়র।
সবসময় প্যারা দেয়
দেখতে মাশাআল্লাহ
অনেক সুন্দর,,সবার
ক্রাশ যেমন দেখতে
সুন্দর তেমনি রাগী ,,
ভার্সিটির প্রায় আপুর
কাছে থাপ্পর খাইছে।।
আর যে প্রপোজ করতে
আসে তাকে তো এমন
ক্যালানি দেয় যে
ব্যাচারা ব্যাথায়
চোটে দুদিন বিছানা
থেকে উঠতে পারে না।।
আব্বু একজন ব্যাবসায়ী
আর আম্মু গৃহিণী,, আব্বু
আম্মুর আমি একমাত্র
সন্তান।।। জীবনে আব্বু
আম্মুর কাছে মার
খেয়েছি কিনা মনে
নেই কিন্তু আপুর কাছে
সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন
খাওয়া লাগে ,,বড় আব্বু
একজন এসআই দেশের
বাইরে থাকেন।। পরিচয়
অনেক হলো এবার গল্পে
আসা যাক"
ক্লাস রুমে চলে এলাম।।
বৃষ্টি আপু: তুই তো
সিহাব ভালোবাসিস
তাহলে এভাবে সিহাব
কে মারিস কেনো?
আপু:ওকে শাসনে
রাখি।।
বৃষ্টি আপু: বুঝলাম,,
কিন্তু তোর এই
অত্যাচার সহ্য করতে না
পেরে যদি হারিয়ে যায়
তখন।।।
আপু: হারিয়ে যেতে
দিবো না,তার আগেই
আপন করে নিবো।।
আচ্ছা ক্লাসে চল।।
মাহি আপু:চল।।
বৃষ্টি আপু:ওকে বলিস
না কেনো?যে তুই ওকে
ভালোবাসিস।
আপু: বলবো সময় হোক।।
ভয় হয় যদি ফিরিয়ে
দেয়।তাই ওকে আগে
আমার প্রতি ওর ভালো
লাগা সৃষ্টি করি তারপর
বলবে।।
মাহি আপু: ভালো,,,
আমি আর রিয়াল
ক্লাসে গেলাম,,
কয়েকজন এর সাথে
পরিচয় হলাম।।
ক্লাস শেষ করে
দাঁড়িয়ে আছি,, আপুর
জন্য।না দাঁড়িয়ে
থাকলে হয়তো হয়তো
বুঝতেন পারছেন কি
হবে।।
সাথে রিয়াল ও আছে,,
রিয়াল: সুলতানা আপু
তোকে মনে হয়
ভালোবাসে।।
ধুর কি বললি,,তোর এমন
মনে হচ্ছে কেনো।।। আর
এতো সুন্দর একটা মেয়ে
আমার মতো পিচ্চি কে
কেনো ভালোবাসতে
যাবে।।। কত সুন্দর সুন্দর
ছেলে ওর পিছনে ঘুরঘুর
করে।। তাদের বাদ
দিয়ে নাকে আমাকে
ভালবাসতে যাবে।। তুই ও
না যা তা।।।
রিয়াল: অপুর ব্যবহারে
বলছে তোকে
ভালোবাসে।। সত্যি
বলছি।।।
না তোর কথা সত্যি
না,,, হয়তো ছোট ভাই
হিসেবে এমন করে।।
রিয়াল: না অন্য কিছু
তোকে ভালোবাসে।।
তোর ধারনা ভুল,,
রিয়াল: সময় হলে বোঝা
যাবে।।।
হুম,,
রিয়াল:ঐ আপু আসছে,
আমি গেলাম।
আচ্ছা যা তাহলে।।। আপু
আসলো।।
আপু:কিরে এখানে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়ে
দেখছিস কেনো।।
আরে না,, আমি তো
তোমার জন্য দাঁড়িয়ে
আছি।।
আপু:তাও ভালো অন্য
মেয়েদের দিকে
তাকাবি না,, না হলে
তোর চোখ উঠিয়ে
নিবো।।
আচ্ছা তাকাবো
না,,এখন চলো।।
আপু:চল,, তখন খুব
লেগেছিল।।
না মজা লাগছিলো,,
আপু: তাহলে আবা দি।।
না আপু আর দিতে হবে
না।।
আপু: কুত্তা তোরে বারন
করি নাই,যে আপু বলবি
না।।
তুমি তো আমার বড়ো।।
আর আপু কে তো আপু
বলতে হয় তাই না?
আপু: আমি এতো কিছু
বুঝি না, তুই আপু বলবি
না মানে বলবি না।।।
হুম,,
বাসায় চলে এলাম,,,
সন্ধ্যায় বসে বসে
সিঙাড়া খাচ্ছি।।। তখন
আপু এলো-
আপু:কিরে কি
খাচ্ছিস,,
মুড়ি খাবা।।
আপু: এগুলো মুড়ি
(রেখে)
দেখতে যখন পাচ্ছো
তখন বলছো কেনো?
আপু: আমাকে রাগ
দেখা,,,
বলেই বাকি সিঙাড়া
গুলো কেড়ে নিলো,,,,
নিয়ে খেতে লাগলো।।
আমি আপুর দিকে
তাকিয়ে আছে,,, এটা
কি হলে।।
আপু: দেখলাম তুই খেতে
পারছিস না,,তাই
সাহায্য করলাম।।
আমি তোমাকে সাহায্য
করতে বলি নাই,,
আপু: তুই না বললি তো
কি হয়েছে,, আমি তোর
বড় তাই বসে থাকতে
পারলাম না।।তোর কষ্ট
সহ্য হলো না তাই
সাহায্য করলাম।(খেতে)
বাকি গুলো দিয়ে দাও,,
আপু: দাঁড়া দিচ্ছি,,,
আমি তো মহা খুশি,
ভাবতেই পারছি না যে
এতো তাড়াতাড়ি দিতে
রাজি হবে।।
আমার কাছে
এলো,,এসে আমি যেটা
খাচ্ছিলাম সেটাও
নিয়ে নিলো।।।।
এটা কি হলো,,, তুমি
আমার টা নিলে কেনো?
আপু: দেখলাম তুই এটাও
খেতে পারছিস না তাই
সাহায্য করলাম।।।
দাও না,,, আম্মু আম্মু,,
আপু: আন্টি আমাদের
বাসায়।।
ধুর বাল,,যাই ফুচকা
গুলো আমি খাই,,
ভেবেছিলাম তোমাকে
দিবো কিন্তু আর দিবো
না।।
আপু:কি ফুচকা,, কোথায়
দে।।
No responses to সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ Part~1
Be first Make a comment.