HomeServiceContact
Home» রোমান্টিক ভালোবাশার গল্প »রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব৬ !!লেখাঃইসরাত জাহান

রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব৬ !!লেখাঃইসরাত জাহান

Visit now


মাঃ কিরে তোর এই অবস্থা কেনো? কি হয়েছে তোর? এভাবে হাপাচ্ছিস কেনো?? আমিঃ উফফ মা তোমার প্রশ্নের কারনে তো আমি আরও হাপিয়ে যাচ্ছি। আগে একটু দম নিতে দাও। তারপর বলছি। মাঃ হ্যা তুই বস আমি পানি নিয়াসি।……….. নে ধর। আমিঃ হুম দাও। তারপর পানিটুকু খেয়ে একটু স্থির হয়ে বসলাম। এদিকে মা প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। মা কে আমি থামিয়ে বললাম। -বলছি মা বলছি। আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। তারপর খেতে বসে বলবো। মাঃ আচ্ছা যা। আমিঃ ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষন পর মা খেতে ডাক দিল। তারপর খেতে বসে রাস্তার বখাটে ছেলেগুলোর কথা বললাম। মা তো শুনে বললো, -এখন থেকে আমি ফেরার পথে এগিয়ে নিয়ে আসবো। মা আজকে তো কোনো গাড়ি পাইনি তাই………… তারপর মাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শুনিয়ে রুমে চলে আসলাম। এরপর ঘুমানোর জন্য যত চেষ্টা করছি তত আজ সকালের কথা মনে পরছে। ভুলতে পারছিনা। রাত ১০:৪৫ এ আমার ফোনে মেসেজ টোন বাজলো। মেসেজেটা সেই আগের নাম্বার টা থেকে এসেছে। Are you ready for # রোমান্টিক_অত্য াচার ??? আমি Reply korlam ke apni? No sms. আমি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম। তারপর সকালে অফিসে গিয়ে দেখলাম সবাই মিষ্টি খাচ্ছে। কারন জনতে চাইলাম সবাই বললো আজকে স্যারের Birthday. তাই সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। আমি ওনার চেম্বারে যাবো কালকের ফাইল টা দেওয়ার জন্য। তখন ম্যানেজার বললো, – মাহি, স্যার আজ অফিসে আসবেননা আপনাকে ফাইলটা নিয়ে ওনার বাসায় যেতে বলেছে। ওহ আচ্ছা। এখন ওনার বাসায় যেতে হবে আবার কিন্তু আমি তো ওনার……..( কথা থামিয়ে দিয়ে) ম্যানেজারঃ চিন্তা করোনা মাহি স্যার অলরেডি তোমার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। আমিঃ ও মা তাই নাকি। ঠিক আছে। কিন্তু আমার তো এখানেও বেশ কিছু কাজ আছে। আপনি স্যারকে বলে দিন আমি অফিস hours শেষ করে তারপর দিতে যাব। ম্যানেজারঃ ওকে। আমিঃ চেম্বারে এসে কাজ শুরু করলাম। হঠাৎ করে মনে হলো স্যার ওনার চেম্বারে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকালাম। কিন্তু কৈ স্যার তো নেই। তাহলে আমার এরকম মনে হলো কেনো। আমি কি স্যারকে miss করছি? কি সব ভাবছি আমি। নিজের কাজে মন দিলাম। কাজ শেষ করে ওনার বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলাম। ওখানে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এই প্রথম আমি এত বড় বাড়ি দেখলাম। বিশাল জায়গা নিয়ে ওনার বাড়ি আর বাড়ির সামনে অনেক বড় বাগান। আর তার উল্টো পাশে অনেক বড় পুল। কিন্তু পুল সাইডে এত লোকজন কেনো? তারমানে উনি বাসায় Birth day party arrange করেছেন? হায় হায় আর আমাকে আজকেই আসতে হলো? হঠাৎ একটা লোক এসে বললো ম্যাডাম আপনি কি মিস মাহি? -জি – স্যার ঐদিকে আছে আমার সাথে আসুন। আমাকে পুল সাইডে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে উনি ওনার বন্ধুদের সাথে Drinks হাতে নিয়ে বসে গল্প করছেন। দেখলাম ওনার বন্ধুরা ওনাকে বলছে, – আশফি তোমাকে কিন্তু এখন আমাদের সাথে এই শ্যাম্পেন পার্টিতে পার্টিসিপেট করতেই হবে। আশফিঃ আরে এগুলো তো তোমাদের জন্যই, তোমরা আজকে যত পারো খাও। -নানা সেটা কি করে হয়। তোমার birthday তে তোমাকে রেখেই enjoy করবো? Not possible. তোমাকে তো থাকতেই হবে। নাও নাও শুরু করো। আমিঃ এগুলো বলেই ওরা ওনাকে কিছুটা জোর করেই ২/৩ গ্লাস খাইয়ে দিল। তারপর হঠাৎ ওনার আমার দিকে চোখ পরলো কিন্তু no reaction. উনি স্বাভাবিক ভাবে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজে থেকেই ওদের সাথে Drinks করা শুরু করলো। এভাবে অনেক গুলো Drinks নেওয়া শুরু করলো। আমি আর কি করবো চারপাশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম ভালোই লাগছিল। তারপর পেছনে তাকালাম উনি নেই। অসহ্য এভাবে কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবো। আর উনি হুট করে কোথায় চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে এসে বললো, -ম্যাম স্যার আপনাকে ডাকছেন উনি বাগানের ঐ সাইডে আছেন আপনি যান আমিঃ হুম।তারপর আমি গেলাম গিয়ে দেখলাম বাগানের ভেতরটাও মরিচ বাতি দিয়ে সাজিয়েছে সুন্দর করে কিন্তু এখানে কেউ নেই। ওনাকে দেখলাম উনি এক সাইডে Drinks হাতে নিয়ে বসে আছে চেয়ারের মত একটা সিটে আর সিটটা এতোটাই উঁচু ছিল যে উনি বসেই আমার সমান Height লাগছে। কিন্তু আমি ভাবছি সিট টাই উঁচু নাকি উনিই বেশি লম্বা? যাইহোক ভাবনা বাদ দিয়ে ওনার কাছে গিয়ে দেখলাম উনিই বেশি লম্বা । -স্যার? উনি আমার দিকে তাকালেন। আমি বললাম এইযে ফাইলটা। কিন্তু উনি শুধু আমারদিকে তাকিয়েই আছে। কিছু বলছেনা। আজ প্রথম আমি ওনার চোখের দিকে তাকালাম। সত্যিই মনে হচ্ছে ওনার চোখে অনেক প্রেম। আমি ওনার চোখের অনেক গভীরে হারিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ এক ঝটকায় আমাকে ওনার কাছে টেনে আমার কোমোর জরিয়ে ধরলেন বসে থাকা অবস্থাতেই।তখন আমার ঘোর ভাঙ্গলো। – কি করছেন কি আপনি? ছাড়ুন আমাকে। স্যার প্লিজ আমাকে ছাড়ুন। আশফিঃ উহুমম.. স্যার নয় আশফি। আশফি বলে ডাকো। আমিঃ ওনার মুখ দিয়ে মদের গন্ধ আসছে আমার আর সহ্য হচ্ছেনা। প্লিজ আমাকে ছাড়ুন। না হলে আমি চিল্লাবো কিন্তু। কথাটি বলার সাথে উনি আমাকে আরও শক্ত করে ধরলেন। আশফিঃ কিহ্ চিল্লাবে। চিৎকার করলে এখানে কে আসবে শুনি। আমাকে তো তোমার মানুষ মনে হয়না তাইনা। আমি তোমার কাছে আসলে তোমার অসহ্য লাগে। আর আসিফ? ওকে তোমার খুব ভালো লাগে, ও যখন তোমার হাত ধরে তোমার গাল টেনে দেয় তখন খুব শান্তি লাগে তোমার??? আমার সাথে কথা বলার সময় তোমার মুখে কথা থাকেনা, হাসি বন্ধ হয়ে যায়। খুব ভালো লাগে ওকে?? আমিঃ আমি ওনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম এসব কি বলছে উনি? – আপনি এসব কি বলছেন? আসিফ শুধুমাত্র আমার বন্ধু। এর বেশি কিছুনা। আশফিঃ তাহলে আমার সাথে তুমি কেনো এমন করো। তুমি ছাড়া আমার কেউ নেই। তুমি সেটা কেনো বোঝোনা মাহি। তোমাকে ছাড়া আমার যে থাকা অসম্ভব।তোমার জন্যই যে আমার দেশে আসা।আমি সহ্য করতে পারিনা যখন তুমি অন্য পুরুষের সাথে কথা বল, অন্য কারো হাত ধরো। শুধুমাত্র আমার চোখের সামনে তোমাকে রাখার জন্য নানা রকম বাহানায় তোমাকে আমার কাছে ডাকি। আর সেই তুমি সবমসময় আমার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেরাউ। কেনো বলতো? তুমি কি আমার চোখ দেখে একটাবারের জন্যও বোঝোনি এই চোখে তোমার ভালোবাসা পাওয়ার আকুলতা? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করো কোনটা? (কথাগুলো কান্না করে বলছিল)। আমিঃ আমি কি বলবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তবে এটা বুঝতে পারছি ওনার নেশা হয়ে গেছে।
  • চলবে……..

  • © রোমান্টিক অত্যাচার–>৭

  • 2024 ago 323 views [22-02-24 (01:20)]

    About Author

    admin
    author

    No responses to রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব৬ !!লেখাঃইসরাত জাহান

      Be first Make a comment.

    Leave a Reply

    You must be logged in to post a comment.
    Admin
    Privacy & Policy
    Java Apps
    Back To Top