
মা জলদি নাস্তা
দাও আজকে
অফিসে
তাড়াতাড়ি
যেতে হবে নতুন
এম.ডি জয়েন
করছে।
মা:তুই টেবিলে
বস আমি নাস্তা
নিয়ে আসছি….
আমি:আচ্ছা।
এর মধ্যেই আমার
পরিচয় টা দিয়ে
দিই। আমি
নুসরাত জাহান
মাহি, সবাই
আমাকে মাহি
বলেই ডাকে।আর
আমি খুব সুন্দর
আর শান্ত
স্বভাবের মেয়ে
সবাই তাই বলে
। আমার ছোটো
একটা পরিবার।
সেখানে আমি
আর আমার মা
থাকি। আমার
বাবা আমাদের
সাথে থাকেননা।
আমার যখন ৫
বছর বয়স তখন
বাবা মা কে
ডিভোর্স দিয়ে
অন্য কাউকে
বিয়ে করেন।
ভালোবেসেই
বিয়ে করেছিল
তারা দুজন।কিন্তু
সম্পর্ক টা
টিকেনি। সেই
থেকেই মা
আমাকে নিয়ে
একা থাকেন।
অনেক
বিলাসিতাই বড়
করেছেন
আমাকে। কখনও
কষ্ট কি জিনিস
আমাকে বুঝতে
দেননি।কারণ
মায়ের পাশে
আমার নানু
বাড়ির সাপোর্ট
ছিল।
থাক অনেক কিছু
বলে ফেললাম,
আমাকে এখন
খাবার টা তো
খেতে হবে।
মা: নে ধর
পুরোটা খাবি
কিন্তু। প্রতিদিন
তো হাফ খেয়ে
চলে যাস।
আমি: উমম.. মা
আজকে তো
আরো জলদি
যেতে হবে। নতুন
এম.ডি আসবে
আর আমি তার
পি.এ।
তাড়াতাড়ি না
গেলে হয়??
(খেতে খেতে)
মা: তাই বলে
কি না খেয়ে
যেতে হবে
নাকি? আর দিন
দিন যা ফিগার
বানাচ্ছিস
কিছুদিন পর তো
তোকে চোখেও
দেখা যাবেন।
আমি: আহা,মা
স্লিম না
থাকলে আমি
কাজ করবো
কিভাবে। আর
মোটা হয়ে
গেলে ছেলেরা
যদি আমার
দিকে না
তাকাই??
আচ্ছা আমার
খাওয়া শেষ,
আমি আসি। তুমি
খেয়ে নিও।
মা: আচ্ছা
সাবধানে যাস।
আমি: উফফ তাও
অনেকটা লেট
হয়ে গেলো। না
জানি নতুন
এম.ডি কেমন
হবে। ভাবতে
ভাবতে অফিসে
পৌঁছে গেলাম।
-good morning,
mam
-good morning
everyone.
মি.আসিফ: আরে
মাহি, তুমি এতো
লেট কেনো?
এম.ডি সাহেব
অলরেডি চলে
এসেছেন।
তাড়াতাড়ি এসো
welcome করতে
হবে।
আমি: হ্যা চলো।
আসলে জ্যামে
আটকে
গেছিলাম। তাই
এতো লেট হলো।
মি.আসিফ:
দেখে দেখে
আজকেই
তোমাকে
জ্যামে পড়তে
হলো? শুনেছি
নতুন এম.ডি
নাকি খুব কড়া
মেজাজের
লোক।
আমি: ওহ্ তাই
নাকি!! এই ওয়েট
ওয়েট ওনার নাম
টাই তো জানা
হয়নি। নামটা
কি?
মি.আসিফ: হা
হা হা এখন
পর্যন্ত নাম টাই
জানোনা!!
…………………..
মি.আশফি
চৌধুরী: Hello
everybody. আমি
আশফি চৌধুরী
আপনাদের নতুন
এম.ডি।
– welcome sir
( অফিস স্টাফ)
আমি: welcome
sir. আমি
আপনার…….
(কথা শেষ করার
আগেই
মি.আশফি কথা
বলা শুরু করলেন)
মি.আশফি: আমি
যেহেতু এখানে
নতুন তাই আমি
আপনাদের
সকলের সাহায্য
কামনা করবো।
ম্যানেজার
সাহেব আপনি
আমার চেম্বারে
আসুন।
ম্যানেজার: ok
sir.
মিস নিলা: wow
আমাদের আশফি
স্যার তো পুরাই
হিরো। এত্তো
young, smart r
dasshing . আমি
তো পুরো প্রেমে
পড়ে গেলাম।
(অফিস স্টাফ)
আমি: হুম। সেটা
তো ঠিক আছে।
কিন্তু
বিহেভিয়ার টা
এমন কেনো?
আমি welcome
করলাম আর
আমাকে
কিভাবে avoid
করলো!!
মি.আসিফ:
আগেই
বলেছিলাম উনি
একটু কড়া
মেজাজের
মানুষ।
আমি:হুম… একটু
না অনেকটাই।
মি.আশফি:
আচ্ছা
ম্যানেজার
সাহেব আপনি
এখন আসতে
পারেন।
ম্যানেজার : ok
sir.
মি. আশফি:
আমার চেম্বারর
আসুন।
( টেলিফোন
পি.এ কে)
আমি: May I
come in sir??
মি. আশফি:
yeah come in.
বসুন।
আমি: thank u
sir.
মি.আশফি:welco
me. আপনি
এখানে কত বছর
হলো কাজ
করছেন?
আমি: 2 years
sir.
মি. আশফি: এই ২
বছরে আপনি
ঠিক কত বার
লেট করে
এসেছেন?
আমি: স্যার
আমি always
right time এ
অফিসে আসি।
actually আজকে
জ্যামে আটকে
গেছিলাম তাই
আর কি………..
( কথা থামিয়ে)
মি. আশফি:
shut up. আমি
এই excuse
জিনিসটা একদম
অপছন্দ করি।
next time আমি
আপনাকে
regular right
time এ অফিসে
দেখতে চাই। Is
that clear???
আমি: ok sir
মি আশফি: এখন
আসতে পারেন।
আর হ্যা আপনার
নাম টা তো
জানা হলোনা।
নামটা কি?
আমি: নুসরাত
জাহান মাহি।
মি. আশফি: হুম।
তো মিস মাহি
এই ফাইলগুলো
রাখুন কালকের
মধ্যে কাজ শেষ
করে এগুলো
আমাকে জমা
দিবেন।
আমি: স্যার
কালকের মধ্যেই
দিতে হবে
এতগুলো ফাইল?
মি. আশফি:
yes…… কালকেই।
আমি: ok sir
মি. আশফি: আর
হ্যা শুনুন।
প্রতিদিন
সকালে অফিসে
এসে at first
আমার চেম্বারে
আসবেন। এসে
আমাকে good
morning
জানাবেন।
তারপর নিজের
চেম্বারে
যাবেন।Ok….??
আমি: ok sir…….
মি. আশফি: হুম।
এখন আসুন।
( আড়ালে মুচকি
হেসে)
আমি: হাই
খোদা….. এ
কেমন অদ্ভুত
অদ্ভুত রুলস
ওনার। মুড টা
একদম পুরা নষ্ট
করে দিল।
আগের এম.ডি
স্যার এর কাছে
কখনও এমন বকা
খাইনি। আর ইনি
একদিন আসতে
না আসতেই
সবাইকে
মেজাজের ওপর
রাখছেন।
বদমেজাজি
লোক একটা।
মি.আসিফ: কি
ব্যাপার মাহি
তোমাকে এমন
বিষন্ন লাগছে
কেনো?
আমি: আর
বোলোনা পুরা
মেজাজ টাই
বিগড়ে দিল।
তারপর
আসিফকে
সবকিছু বললাম।
আসিফ: হা হা
হা। তাহলে এই
punishment দিল
তোমাকে । যাই
হোক অনেক
সাবধানে কাজ
কোরো। Best of
luck
আমি: হুম।
Thanks .
আজকে কাজ
শেষ করে বাসায়
ফিরতে ফিরতে
সন্ধ্যা হয়ে
গেলো। এতো
কাজ দিয়েছে
যে অফিসের
কাজ বাসায়
আনতে হলো।
একদিনে এতো
কাজ কি করে
শেষ করবো
আল্লাহ্ পাক’ই
জানে।
মা: কিরে
আজকে আসতে
এতো দেরি
করলি যে?
আমি: ওহ্ মা
পরে বলছি আগে
খেতে দাও
প্রচন্ড ক্ষুদা
পেয়েছে।
মা: কেনোরে
আজকে দুপুরে
খাসনি?? তোর
তো এতো
তাড়াতাড়ি
কখনো খিদে
পাইনা।
আমি: আর
খাওয়া…… নতুন
এম.ডি স্যার
এতো কাজ
দিয়েছে যে
খাওয়ার কথা
ভুলেই গেছি।
আর এতো
বদমেজাজি
জানোনো মা…
মা: তাই নাকি?
তাহলে
সাবধানে কাজ
করিস। আর তুই
কখনো মাথা গরম
করবিনা,বুঝলি?
যা ফ্রেশ হয়ে
আই আমি তোকে
খাবার দিচ্ছি।
আমি: হুম যাচ্ছি।
তারপর খাওয়া-
দাওয়া শেষ
করে অফিসের
কাজ নিয়ে
বসলাম। কাজ
করতে করতে
রাত ১১:৩০ টা
বেজে গেলো।
হঠাৎ unknown
নাম্বার থেকে
একটা message
আসলো।
messeage এ
লেখা ছিল
Beshi raat jege
kaj kora valona.
taratari
ghumiye poro.
আমি সাথে
সাথে সেই
নাম্বারে ফোন
করলাম। কিন্তু
ফোন রিসিভ
হলোনা। তারপর
কাজ শেষ করতে
করতে রাত ১২:৩০
টা বেজে
গেলো। কাজ
শেষ করে আমি
ঘুমিয়ে পড়লাম।
খুব সকাল সকাম
ঘুম ভাঙ্গলো
মায়ের ডাকে।
উঠে জলদি
নাস্তা করে
অফিসের
উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়লাম।
অফিসে ঢুকেই
শুনি সবার মুখে
একই টপিক….
স্যার কতো
সুন্দর, কতো
লম্বা, কি সুন্দর
চোখ। চোখ
দেখলেই প্রেমে
পড়ে যাওয়ার মত
অবস্থা। ঠোট টা
কত লাল,গায়ের
রঙ টা কতো
ফরসা। আর
হেয়ার স্টাইল
টা তো বলার
প্রয়োজন ই নেই।
সবার ভেতর
আমি বলে
উঠলাম….. একটু
বেশি বেশি হয়ে
যাচ্ছেনা??
নিলা: মাহি
বিশ্বাস করো
আমি বাস্তবে
এতো সুন্দর
ছেলে কখনো
দেখিনি।
আমি: হ্যা তো
এখন দেখো।
আচ্ছা ছেলে
মানুষ যদি
মেয়েদের থেকে
এতো সুন্দর হয়
তাহলে মেয়ে
মানুষের সুন্দর
হওয়ার কোনো
প্রয়োজন
আছে???
-ম্যাম আশফি
স্যার আপনাকে
ডাকছেন।
আমি: হ্যা যাও
আসছি। আসতে
না আসতেই ডাক
পড়ে গেছে…
অসহ্য।
আসবো স্যার???
আশফি: আসুন।
আপনাকে কাল
আমি কি
বলেছিলাম
( রাগী মুডে)
আমি: কাল
আমাকে কি
বলেছিলেন
স্যার??
…………………….. ও
হ্যা মনে
পড়েছে। Good
morning
sir….sorry sir.
একদম ভুলে
গেছিলাম। আমি
কাজ গুলো ও
শেস করেছি।
এইযে স্যার।
আশফি : আপনার
সাহস হয় কি
করে আমার কথা
অমান্য করার।
আপনার কথা
ছিল অফিসে
এসে সবার আগে
আমাকে
morning
জানোনো। সেটা
না করে আপনি
স্টাফদের সাথে
গল্প করতে
দাঁড়িয়ে
গেছেন???
আমি: আর
হবেনা স্যার।
আমার সত্যিই
অনেক বড় ভুল
হয়ে গেছে।
আশফি : আপনি
আমার চোখের
সামনে থেকে
সরে যান। যান
বলছি। ( ধমকের
সুরে)
আমি: মন খারপ
করে বাইরে চলে
আসলাম।নিজের
চেম্বারে চলে
গেলাম। সকাল
থেকেই মন টা
খারাপ হয়ে
গেলো। বসতে
না বসতেই ফোন
আসলো।
হ্যালো নুসরাত
মাহি বলছি।
Ok sir. আশফি
স্যার ফোন
করেছেন
চেম্বারে যেতে
বলছেন। Oh
God….এইতো
আসলাম এখনি
আবার ডাক
পড়লো?
দরজা নক করতেই
ভেতরে আসতে
বললেন।ভেতরে
ঢুকলাম।
আশফি: মিস
মাহি আমার
জন্য এক কাপ চা
আনুন।
আমি: What??
আমি চা
আনবো??? চা
আনার জন্য
তো……( কথা
থামিয়ে দিয়ে)
আশফি: Oh just
shut up. You
are my personal
asistant.So
আমি অফিসে
থাকাকালীন
আমার সবরকম
ব্যক্তিগত বিষয়
আপনাকেই
দেখতে হবে। আর
যদি সেটা না
পারেন তাহলে
রেজিগলেশন
লেটার দিতে
পারেন।
আমি: No sir.
আমি এক্ষনি
বানিয়ে দিচ্ছি।
স্যারকে চা
বানিয়ে দিয়ে
আমি চলে
আসলাম আমার
চেম্বারে। মন টা
খুব খারাপ হয়ে
গেলো। তারপর
অনেক কষ্টে
কাজে মন
দিলাম। কাজ
করার সময় চুল
গুলো বার বার
সামনে
আসছিলো তাই
চুল গুলো যখন
বাধতে গেলাম
তখন খেয়াল
করলাম স্যার
আমার দিকে এক
দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে।
আমি দেখার
সাথে সাথেই
উনি চোখ
ফিরিয়ে
নিলেন।
চলবে…© রোমান্টিক অত্যাচার–>২
nice